• ১ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

World Champion

খেলার দুনিয়া

১৯৮৩-২০২৪ ব্যবধান ৪১ বছর হলেও, একসুত্রে ধরা পরলো কপিল-সূর্য-র 'ক্যাচ'-এ

ভারতীয় ক্রিকেট দল শনিবার বর্বাডোসে ২০২৪-র টি-২০ বিশ্বকাপ জয়লাভ করে ক্রিকেট ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। মেন ইন ব্লু চূড়ান্ত খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাত রানে হারিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছে। ১১ বছরের দীর্ঘ আইসিসি ট্রফির খরার অবসান ঘটে। এশিয়ান জায়ান্টরা শেষবার ২০১৩ তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল।ভরতের বারা ভাতে ছায় দিয়ে দিয়েছিলো অক্ষর প্যাটেলের ১৫ তম ওভার। হেনরিক ক্লাসেন অক্ষর প্যাটেলের ওই ওভারে ২৪ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন। ঠিক যখন ম্যাচটি ভারত হাত থেকে সরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, ঠিক সেই সময় ১৬ তম ওভারে হার্দিক পান্ড্য বল করতে এসেই বিপজ্জনক ক্লাসেনকে উইকেটের পিছনে ধরা দিতে বাধ্য করেন। এক্ষেত্রে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থ কোনও ভুল করেননি। অক্ষর প্যাটেলের ওভারে বিশাল রান হওয়ার সাথে সাথে কমেন্ট্রী বক্সে বহু যুদ্ধের নায়ক রবি শাস্ত্রী কে বলতে শোনা যায়, যখন ব্যাটারকে কোনও কিছুতেই পরাস্ত করা যাচ্ছে না তখন মোমেন্টাম ব্রেক করতে হয়। মানে সাময়িক বিরতি খেলোয়ারের মনচ্যুতি বা ধৈর্জচ্যুতি ঘটে, এখানে লক্ষনীয় ঋষভ পন্থ পায়ে চোটের জন্য ফিজিও ডেকে ৩-৪ মিনিট সময় ব্রেক নিলেন। তাতেই কাজ। ক্লাসেন ধৈর্জ হারিয়ে বাইরের বল তারা করে উইকেটের পিছনে ধরা পরলেন।ক্রিজে ডেভিড মিলারের সাথে জনসেন, প্রোটিয়ারা তখনও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, তাঁরা নিশ্চিত ছিল এই ম্যাচ তাঁরা বের করে নিতে পারবে। ক্লাসেনের বিদায়ের পরের তিনটি ওভার আরশদীপ, বুমরা, হ্রাদিক যেন অলৌকিক স্পেলিং করলেন। বল-রান প্রায় সমান-সমান অবস্থা থেকে আস্কিং রেট ক্রমশ বারতে থাকে। চাপ বাড়ে সাউথ আফ্রিকার। শেষ ওভার কে বল করবে এই নিয়ে ভাবনার মাঝেই হ্রাদিক বল হাতে রান-আপে দাঁড়ায়। ভারতীয় দলের দিকপাল ফিল্ডাররা তখন বাউন্ডারি লাইনের গা ঘেঁশে দাঁড়িয়ে। হ্রাদিকের ২০ তম ওভারের প্রথম বল, কিলার মিলার সোজা লং অফের দিকে তুলে মাড়লেন, হৃদস্পন্দন সাময়ীক ছন্দ হারালো বল মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে। সবাই যখন বলটাকে মাঠের বাইরে যেতে দেখছে, একজন কিন্তু ওটাকে বিশ্বকাপ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখছিলেন। লং অফ বাউন্ডারিতে দাড়িঁয়ে ধীর শান্ত ভাবে বলটিকে তালুবন্দি করলেন, নিজের ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য তালুবন্দি বলটিকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে মাঠের বাইরে গিয়ে ভারসাম্য ঠিক করে আবার মাঠে ঢুকে ফাইনালি বিশ্বকাপ (বল) তালুবন্দি করলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর এই শান্ত মাথা তাঁকে চাপের মধ্যে সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্যাচ নিতে সাহায্য করেছিল।তাঁর এই অনবদ্য ক্যাচ ক্রিকেট ইতিহাসে আইসিসি বিশ্বকাপ ফাইনালে ইভেন্টে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্যাচ হয়ে থাকলো। অবধারিত ভাবেই সূর্যকুমার যাদবের এই মহাকাব্যিক ক্যাচ ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত অধিনায়ক কপিলদেবের ঐতিহাসিক ক্যাচ নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। সেদিনও মদনলালের বলে ভিভিয়ান রিচার্ডসের ডিপ মিড-উইকেটে তোলা উঁচু ক্যাচ কপিল দেব প্রায় ২৫ মিটার পিছনে দৌড়ে গিয়ে অসামান্য দক্ষতায় তালুবন্দি করেন। সেদিনও ভিভ রিচার্ডস না ফিরলে ভারতের বিশ্বকাপ জয় হয়ত বা সম্ভব হত না। ৪১ বছর পর, সূর্যকুমার যাদবও শেষ ওভারে তার খেলা পরিবর্তনকারী ক্যাচ দিয়ে ভারতের ভাগ্য পরিবর্তন করলেন। যদিও কপিলের ক্যাচ ভারতীয় ক্রিকেটের চেহারা চিরতরে বদলে দিয়েছে, সূর্যকুমার যাদব ভারতীয় ক্রিকেটের ১১ বছরের দীর্ঘ যন্ত্রণার অবসান ঘটিয়েছে কারণ রোহিতের অধিনায়কত্বে এই দলটি অধীর আগ্রহে আইসিসি খেতাবের জন্য অপেক্ষা করেছিল। ভারতীয় ক্রিকেট তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে আরেকটি গৌরবময় অধ্যায় শুরু করার সাথে সাথে, কপিলদেব এবং সূর্যকুমার যাদব তাদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং দিয়ে দলের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

জুন ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

দেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেললাম, বিশ্বকাপ জিতে সমর্থকদের কাঁদালেন বিরাট কোহলি

বিশের বিশ্বযুদ্ধে আর পাওয়া যাবেনা তাঁকে। ক্রিকেট মহাকাব্যের রূপকথার নায়ক পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর খেল্বেন না। বিশ্বকাপ জিতেই এই ফরম্যাট থেকে তাঁর এই অবসরের কথা ঘোষনা করলেন বিরাট কোহলি। সারা টুর্নামেন্ট নিস্প্রভ থেকেও ফাইনালে জ্বলে ওঠেন বিরাট। ম্যাচের সেরার খেলোয়ারের পুরস্কার নিতে এসে নিজের মুখেই অবসরের কথা ঘোষণা করে দিলেন তিনি। হর্ষ ভোগলের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন, টি=২০ বিশ্বকাপ ফাইনালই তাঁর শেষ টি-২০ বিশ্বকাপ ম্যাচ হয়ে থাকল। তিনি আরো জানান, পরের প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।শনিবারের ক্রিকেটের মহারনে প্রচণ্ড ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে ৭৬ রান করেন। গোটা টুর্নামেন্টে চুড়ান্ত সফল ব্যাটার রোহিত শর্মা ফাইনালে প্রথমেই ফিরে যাওয়ায় বিরাটের ওপর বিশাল চাপ এসে পরে। ক্রিকেট দেবতার বরপুত্র চাপ কাটিয়ে ধীরে ধীরে এল আসাধরণ ইনিংস খেললেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওই ইনিংস-ই ভারতকে বড় স্কোরে দাঁড় করিয়ে দেয়। বিরাট কোহলি ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিতে এসে বলেন, এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। ঠিক যেটা অর্জন করতে চেয়েছিলাম সেটাই করেছি। মাঝে মাঝে এটা মনে হয় যে আপনি হয়তো রান পাচ্ছেন না। তার পরেই একটা বড় রান চলে আসে। আসলে আমার কাছে ব্যাপারটা ছিল, হয় এখন, না হলে কখনও নয়।তাঁর আগে অবধি কেউ আন্দাজ করতে পারেননি যে এর পর তিনি সেই সাঙ্ঘাতিক সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন! হর্ষের পরবর্তী প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেন, এটাই ভারতীয় দলের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। আমরা বিশ্বকাপ জিততে চেয়েছিলাম। জোর করে কোনও পরিস্থিতি তৈরি করার থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া উচিত। সবাই জানত এর পরে কী হতে চলেছে। এটাই সময় নতুন প্রজন্মের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার। অসাধারণ সব ক্রিকেটার রয়েছে আমাদের ভারতীয় দলে। ওরাই দলকে পরবর্তী সময়ে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দলকে আরও উঁচুতে তুলবে।

জুন ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

ওস্তাদের 'বিরাট' মার শেষ রাতে! ১৩ বছর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত

ভারতের ১৭৬ রান টপকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার রথ থেমে গেল ১৬৯ রানে। ভারতের ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফি খরা কাটল। প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থেকে এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত। ভারতই প্রথম দেশ যারা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন।রোহিতের নেতৃত্বে ভারত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভার ৭ উইকেটে তোলে ১৭৬ রান। সারা টুর্নামেন্টে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও, চূড়ান্ত খেলায় মেলে ধরলেন নিজেকে, কোহলি একাই করেছেন ৭৬ রান। এ যেন ওস্তাদের মার শেষ রাতে। ফাইনালে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারাল।হার্দিকের বলে ঋষভ পন্থের হাতে ধরা পড়লেন হেনরিখ ক্লাসেন। যার ফলে, সংকটজনক পরিস্থিতিতে বড় সাফল্য পেল ভারত। ক্লাসেন ২৬ বলে ৫২ রান করেছেন। ২টো চার ও ৫টা ছয় মেরেছেন। এরপর মার্কো জানসেনকে ২ রানে বোল্ড করে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ। শেষলগ্নে দক্ষিণ আফ্রিকার কফিনে পেরেক পুঁতে ডেভিড মিলারকে ফিরিয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। মিলার ১টি চার ও ১টি ছয় সহযোগে ১৭ বলে ২১ রান করার পর সূর্যকুমার যাদবের হাতে ধরা পড়েন।দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন কুলদীপ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল। কুলদীপ গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেললেও এই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন। তিনি একটাও উইকেট পাননি। অন্যদিকে অক্ষর প্যাটেল ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়েছেন। শুধু ট্রিস্টান স্টাবসের উইকেট পেয়েছেন। অলরাউন্ডার অক্ষর অবশ্য ব্যাটিংয়ে ফাইনালের দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি ১টি চার আর ৪টি ছয় সহযোগে ৩১ বলে ৪৭ রান করেন।ক্লাসেন ২৬ বলে ৫২ রান করেছেন। মিলার ৯ বলে ১৫। জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪ বলে ২৬ রান প্রয়োজন। ক্লাসেন ২টো চার ও ৫টা ছয় মেরেছেন। ক্লাসেন কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বোলারদের। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল ম্যাচের রাশ ভারতের হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে।পুরো টুর্নামেন্টে ঘারাবাহিকভাবে ব্যর্থ কিংবদন্তি ক্রিকেটার বিরাট কোহলি শনিবার বার্বাডোজে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জ্বলে ওঠেন। মধ্যে কয়েকটা বল নষ্ট করলেও রীতিমতো ধরে খেলে অর্ধশতক পূর্ণ করতেই তিনি ফেরেন চেনা ছন্দে। ৬টি চার এবং ২টি ছয় মেরে ৫৯ বলে ৭৬ রান করেন। শেষে মার্কো জানসেনের বলে কাগিসো রাবাদার হাতে ধরা পড়েন কোহলি। যার জেরে ভারতের ৫ম উইকেটের পতন হয়। অক্ষর প্যাটেলও দুর্দান্ত খেলেছেন। ১টি চার আর ৪টি ছয় সহযোগে ৩১ বলে ৪৭ রানও করেন। কিন্তু, অর্ধশতকের মুখে কুইন্টন ডি কক রান আউট করে দেন অক্ষর প্যাটেলকে। শিবম দুবে ৩টি চার ও ১টি ছয় সহযোগে ১৬ বলে ২৭ রান করেছেন। এছাড়া ভারতের বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করেনি।

জুন ৩০, ২০২৪
খেলার দুনিয়া

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠলেন নীরজ, দুরন্ত থ্রো! প্যারিস অলিম্পিক্সের যোগ্যতা ও অর্জন করলেন

আবার দুরন্ত ভারতীয় ট্র্যাক ফিল্ডের সোনার ছেলে। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ফের স্বমহিমায় জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। সোনা জয়ের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগোলেন এই ভারতীয় অ্যাথলিট। তার সাথে সাথেই প্যারিস অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়ে গেলেন নীরজ।তার প্রথম থ্রো ছিল ৮৮.৭৭ মিটার-র। শুক্রবার প্রথম থ্রোয়েই নীরজ যোগ্যতা অর্জনের মাপকাঠি পেরিয়ে যান। এই মরশুমে এটাই নীরজের সেরা থ্রো। আগামী ২৭শে আগস্ট রবিবার ফাইনালে সোনার লক্ষে ট্রাকে নামবেন নীরজ। ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আসরে পদক অনেক পেলেও, তিনি কোনদিন বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতেননি।এবারের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স মিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে। এবারের চ্যাম্পিয়নশিপে নীরজ- সহ তিনজন ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার অংশ নিয়েছেন। এই ইভেন্টে মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ৩৭। তার মধ্য থেকে ১২ জন ফাইনালে উঠতে পারবেন। শুক্রবার ৩৭ জনের মধ্যে প্রথম প্রতিযোগী হিসাবে ফাইনালে জায়গা করে নিলেন গত বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোজয়ী নীরজ। ফাইনালের ওঠার নিয়ম অনুযায়ী, ৮৩ মিটার বা তার বেশি দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়লেই সরাসরি ফাইনালের টিকিট মেলে। নীরজ নিজের প্রথম থ্রোয়েই তিনি ৮৮.৭৭ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেন সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে যান।One throw is all it takes 🎶🇮🇳s Olympic champ @Neeraj_chopra1 is on fire in Budapest 🔥Catch him in the javelin throw final on Sunday.#WorldAthleticsChamps pic.twitter.com/ACVakCvPIK World Athletics (@WorldAthletics) August 25, 2023গ্রপ এ থেকে একমাত্র নীরজই সরাসরি ফাইনালে উঠলেন। ভারতের অপর জ্যভলিন থ্রোয়ার ডিপি মানু, তিনিও নীরজের সাথে গ্রুপ এ-তেই রয়েছেন। মানু ৮১.৩১ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন ছুঁড়ে গ্রুপে তিন নম্বর স্থান লাভ করেন। এখনও তাঁর ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য গ্রুপ বি-র যোগ্যতা অর্জন পর্ব শেষে হলে জানা যাবে মানু ফাইনালে যাবেন কি না। দুটি গ্রুপ মিলিয়ে মোট ১২ জন প্রতিযোগী ফাইনালে অংশগ্রহন করবেন।

আগস্ট ২৫, ২০২৩
খেলার দুনিয়া

World Badminton Championship : ‌বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়লেন কিদাম্বি শ্রীকান্তের

বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। সুযোগ ছিল সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করার। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন এই ভারতীয় শাটলার। সিঙ্গাপুরের লো কিন ইউএর কাছে হেরে প্রথম ভারতীয় পুরুষদের হিসেবে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল কিদাম্বি শ্রীকান্তের। তবে রুপো জিতে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। শ্রীকান্তের আগে কোনও ভারতীয় পুরুষ ব্যাটমিন্টন তারকা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে পারেননি।এবছর ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে একজন ভারতীয়র ওঠা নিশ্চিত ছিল। সেমিফাইনালে লক্ষ্য সেনের মুখোমুখি হয়েছিলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল শ্রীকান্তকে। তাঁর বিরুদ্ধে দারুণ শুরু করেছিলেন লক্ষ্য। প্রথম গেম ২১১৭ ব্যবধানে জিতে নেন। দ্বিতীয় গেমেও একসময় এগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ২১১৪ ব্যবধানে দ্বিতীয় গেম জিতে নেন শ্রীকান্ত। তৃতীয় গেমে ২১১৭ ব্যবধানে জিতে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফাইনালে পৌঁছে ইতিহাস গড়েন শ্রীকান্ত।ফাইনালে লো কিন ইউয়ের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেছিলেন শ্রীকান্ত। প্রথম গেমে একসময় ১১৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। এরপর খেলায় ফেরেন লো কিন ইউ। সমতা ফিরিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২১১৫ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে নেন। দ্বিতীয় গেমে লড়াই দারুণ জমে ওঠে। শুরুর দিকে এগিয়ে ছিলেন কিদাম্বি শ্রীকান্ত। একসময় তাঁর পক্ষে ফল ছিল ৯৮। দুরন্ত নেট প্লেতে বিব্রত করছিলেন লো কিনকে। অন্যদিকে দীর্ঘ র্যালিতে শ্রীকান্তকে ক্লান্ত করে দেন কিন। সমতা ফিরিয়ে ১৪১৪ করেন লো কিন ইউ। আবার ১৬১৪ পয়েন্টে এগিয়ে যান শ্রীকান্ত। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২২২০ ব্যবধানে জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা দখল করেন লো কিন ইউ।ফাইনালে হারলেও রুপো জিতে ইতিহাস গড়লেন শ্রীকান্ত। এর আগে পুরুষদের বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন ও সাই প্রণীত। এবছর শ্রীকান্তের কাছে হেরে ব্রোঞ্জ জিতেছেন লক্ষ্য সেন। তবে এদের সকলের কৃতিত্বকে ছাপিয়ে গেছেন পিভি সিন্ধু। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ২০১৯ সালে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন। এই কৃতিত্ব অন্য কোনও ভারতীয় শাটলারের নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারত, তিন দিনেই শেষ চতুর্থ টেস্ট!

চারদিনেই ম্যাচ শেষ করে ৩-১ এ সিরিজ জয়ের সাথে সাথে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও পৌছগেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু-দিনে দিন রাতের টেস্ট জিতে পিচ নিয়ে সমলোচকদের বাক্যবানে বিদ্ধ ভারতীয় দল উপযুক্ত জবাব ফিরিয়ে দিল। কোনও ম্যচ-ই কোনদিন পিচ খেলেনি। খেলোয়াড় দের সেখানে নেমে পারফর্ম করতে হয়। শুধু ক্রিকেটে নয়, লন-টেনিসেও ক্লে কোর্ট ও ঘাসের কোর্ট নিয়ে অসট্রেলিয়ান ও ব্রিটিশ দের মধ্যে নাক শোঁকাশুকি আছে। উপমহাদেশের মাঠে খেলতে এসে প্রথম বিশ্বের দলগুলির পিচ নিয়ে অভিযোগ এটাই প্রথম বার নয়। এর আগেও বহুবার করেছেন। তবে এই ম্যচের পিচ সেরকম স্বাভাববিরুদ্ধ আচরণ করেনি ইংল্যন্ডের হয়ে যেমন পেসাররা সফল (বেন স্টোকস ও জেমস অ্যান্ডারসন), তেমনই ভরতের হয়ে আবার স্পিনাররা। ভারত এই ম্যাচে এক ইনিংস ও ২৫ রানে জয় পায়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে লর্ডসে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টিম ইন্ডিয়া।উপমহাদেশে খেলতে গেলে স্পিন বোলিং-এ বিরুদ্ধে ব্যাট করার যে টেকনিক রপ্ত করতে হয় তার হোমওয়ার্ক-এর যথেষ্ট ঘাটতি ছিল এই ইংল্যন্ড দলের। তারা আরও একবার স্পিন অস্ত্রে নাজেহাল হল। ওই একই ঘূর্ণি পিচে জ্যাক লিচ, ডম বেসদের তোয়াক্কা না করে প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান তোলে ভারত, সেই একই পিচে তৃতীয় ইনিংসে ১৬০ রান তুলতে পারলেন না তারা। তাদের ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। অশ্বিন ও অক্ষর যেন তাদের স্পিন বোলিং-এর ক্লাস নিলেন। আরও একবার গুটিয়ে গেল ব্রিটিশদের স্বানামধন্য ব্যাটিং বিভাগ। প্রকট হয়ে উঠল তাদের স্পিন খেলার অক্ষমতা। প্রথম টেস্টের একটা ইনিংস ছাড়া গোটা সিরিজে ভারতীয়দের প্রাধান্যই ছিল লক্ষণীয়। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ভারতীয় বোলারদের বিক্রমে প্রথম দিনের সুর্য ডোবার আগেই ২০৫ রানে মুড়িয়ে যায় তারকাখচিত জো রুটদের প্রথম ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন বেন স্টোকস। অক্ষর প্যাটেল প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেন। ৩টি উইকেট নিয়ে তাকে যোগ্য সাহায্য করেন অভিঞ্জ রবিচন্দ্রণ অশ্বিন।জবাবে ব্যাট করতে নামা ভারতীয় দলে শুরুতেই বিরাট ধাক্কা খায়। শূন্য রান করে ফিরে যান শুভমান গিল। রান করতে ব্যর্থ হন চেতেশ্বর পূজারা। মাত্র ১৭ রান আঊট হয়ে ফিরে আসেন। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও কোনও রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান। রোহিত ও অজিঙ্ক রাহানের হাল ধরার চেস্টা করেন তারা ৩৯ রান যোগ করে সাময়িক ধাক্কা সামলান। ১৪৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোমাতে চলে যাওয়া ভারতীয় দলকে অক্সিজেন দিয়ে জাগিয়ে তোলেন ঋষভ পন্থ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। তারা ১১৩ রানের পার্টনারশিপ করেন। অনবদ্য শতরান করেন ঋষভ পন্থ। নতুন অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর এক সময়োচিত দূর্মুল্য ইনিংস উপহার দেন দলকে, তার দুর্ভাগ্য যোগ্য সঙ্গীর আভাবে শতরান থেকে ৪ রান দূরে অপরাজিত হয়ে সাজঘরে ফিরে আসতে হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বাধা অতিক্রম করতে পারলে বিশ্বের প্রথম দল হিসেবে এক অনন্য কীর্তি গড়বে বিরাট কোহলি শিবির। এই মুহুর্তে ভারতীয় দল প্যেন্ট তালিকায় শীর্ষে।দেখে নেওয়া যাক আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত তালিকার কোথায় অবস্থান করছে ভারত। তালিকার কে কোথায়India on 🔝Virat Kohli and Co. are No.1 in the @MRFWorldwide ICC Test Team Rankings 🔥 pic.twitter.com/uHG4q0pUlj ICC (@ICC) March 6, 2021ম্যচ রিপোর্টঃ জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

মার্চ ০৭, ২০২১

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal